Kudrat Ullah

Kudrat Ullah
Educator

রবিবার, মার্চ ১৭, ২০১৯

বল্টু বইয়ের দোকানে গেছে বই কিনতে-----

..................... ............... ....
বিক্রেতা : স্যার, এই বইটা নিয়ে যান ।
এটা একটা ভয়ের বই। এতে কালো জাদু সম্পর্কে লেখা আছে !

বল্টুঃ দাম কত ?
বিক্রেতাঃ তিন হাজার টাকা ।
বল্টুঃ এইটুকু পাতলা বইয়ের এত দাম !
বিক্রেতাঃ জি , স্যার ! এ বইতেও কালো জাদুর প্রভাবআছে ।
(ফিসফিস করে বলল বিক্রেতা,) ভুলেও এ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠাটা খুলবেন না !
খুললেই আপনি জ্ঞান হারাবেন !
কৌতূহল সামলাতে না পেরে বইটি কিনল বল্টু ।
পুরো বইটা পড়ল, কিন্তু শেষপৃষ্ঠা খুলল না ।
.


এভাবে আরো কিছুদিন চলে গেল . . . . . . . . . .

.
একদিন সাহস করে শেষ পৃষ্ঠাটা উল্টে দেখল ।
তাতে লেখা আছে
,"সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য ৩০ টাকা |"
বল্টু জ্ঞান হারাল... . . . . . . . 

বল্টু কবিতা লিখছে

বল্টু লিখছে....
.
*ছাগলের লেজ ছোট ছোট*
*কুকুরের লেজ বাঁকা*,
*ঐ মেয়ে তোর*
*চেহারাটা*
*দারুণ ঝাঁকানাকা*
.
মোটর সাইকেল দুই চাক্কা
ভ্যানের চাক্কা তিন,
*বউয়ের জ্বালায় সকল*
*স্বামীর জীবন*
*কেরোসিন* !
.
ব্রয়লার মুরগীর দাম কম
দেশী মুরগীর বেশি,
গয়না-শাড়ী কিনে দিলে*
মেয়েরা অনেক খুশি !
.
কিল মারে পিঠেতে
আর ঘুষি মারে নাকে,
পার্লারেতে মেয়েরা
মুখে ময়দা-সুজি মাখে !
.
বিড়াল ডাকে ম্যাঁও ম্যাঁও
কুকুর ডাকে ঘেউ,
মেয়েদের মন বোঝার মতো
নাই রে দুনিয়ায় কেউ !
.
সাপে কামড়ায় পায়েতে আর
মশা কামড়ায় গালে
কল না দিয়ে মেয়েরা থাকে
মিসকল দেয়ার তালে
.
৥ কবিতাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহিত ৥

বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড কথোপকথন

বয়ফ্রেন্ড: তার বান্ধবিকে বলছে আচ্ছা বলতো ৬' ইঞ্চি একটা জিনিস যেটা ধরলেই শরিরে অন্য রকম লাগে, আর আমি তোমাকে দিলে তুমি তা সাবধানে বিশেষ জায়গায় ঢুকিয়ে রাখ এবং আরও বেশী বেশি পরিমানে চাও। বলতো জিনিসটা কি?
.
গার্লফ্রেন্ড: যা দুষ্ট, কি বল এইসব, আমার লজ্জা লাগে... 
       আমি বলতে পারবোনা.. !!!
.
বয়ফ্রেন্ড: আরে লজ্জার কি আছে !! তুমিকি মনে করছ ??...আমি তো...
/
/
/
/ ৫০০৳ নোটের কথা বলছি!!! তোমার দেখি চিন্তাই খারাপ....? ?

বাঙ্গালীর যৌনজীবন - হুমায়ুন আজাদ

বাঙালির যৌনজীবনে বিজ্ঞান নেই, কলাও নেই; রয়েছে পাশবিকতা। বাঙালির যৌবন অতিবাহিত হয় অবদমিত যৌন কামনা বাসনায়, যার ফল বিকৃতি। ধর্ষণ বাঙলায় প্রাত্যহিক ঘটনা, বাঙালিকে ধর্ষণকারী জাতিও বলা যায়। এর মূলে রয়েছে সুস্থ যৌনজীবনের অভাব। পশ্চিমে যে-বয়সে তরুণ-তরুণীরা ঘনিষ্ট হয়, সুখ আহরণ করে, সে-বয়সটা বাঙালির কাটে প্রচন্ড যন্ত্রণায়।

বাঙালির যৌবনমাত্রই ব্যর্থ, ও যন্ত্রণাপীড়িত। সুস্থ মানুষ ধর্ষণ করে না; অসুস্থরা ধর্ষণ না করে পারে না। বাঙালির বিবাহবহির্ভূত যৌনজীবন ছোটো নয়, তারা খোঁজে থাকে এ-সুযোগের; কিন্তু বিবাহিত যৌনজীবনই তার শরীর কামনা পরিতৃপ্তির প্রধানস্থল। এক্ষেত্রে বাঙালি কি তৃপ্ত ? এ-সম্পর্কে কোনো সমীক্ষা পাওয়া যায় না; আলোচনা পাওয়া যায় না কোনো। বাঙালি এ-ক্ষেত্রে পরিতৃপ্ত নয়; শুধু অপরিতৃপ্তই নয়, প্রচন্ড অসুখী।


বাঙালির যৌনক্ষেত্রে পুরুষ সক্রিয় কর্মী; নারী নিষ্ক্রিয় শয্যামাত্র। পুরুষ নিজের সাময়িক সুখ ছাড়া আর কিছু ভাবে না, সঙ্গিনীও যে সুখী হ’তে চায়, তা জানে না; কখনো জানার কথা ভাবে না। বাঙালি নারীপুরুষ পরিতৃপ্তির সাথে পরস্পরকে উপভোগ করে না। উপভোগের ধারণাও তাদের নেই। যে-প্রশান্তি, স্বাস্থ্য ও নিরুদ্বেগ পরিবেশ প্রয়োজন পরিতৃপ্তির জন্যে, তা নেই অধিকাংশ বাঙালির।


তাই বাঙালি অনুপ্রাণিত হওয়ার সাথে সাথেই উপসংহারে পৌছে; এটা তার জীবনের সংক্ষিপ্ততম কাজ; যদিও এটা বৃহত্তম কাজ জীবনে। এখানে যে-অপরিতৃপ্তি, তা ঘিরে থাকে বাঙালি সমগ্র জীবন; তাকে রুগ্ন ক’রে রাখে। এ-রুগ্নতার ফল বাঙালির হঠাৎ-জাগা কামনা। বাঙালি নারী দেখলেই তাকে কাম্য বস্তু মনে করে, মনে মনে রমণ করে। এমন যৌনঅসুস্থ জাতি জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে সুস্থ হ’তে পারে না।


- বাঙালির যৌন জীবন এক ট্যাবু : হুমায়ুন আজাদ

ইঞ্জিনিয়ার এর কান্ড

এক ইঞ্জিনিয়ার কিছুতেই চাকরি পেলনা।
তখন সে একটা ক্লিনিক খুলল আরবাইরে লিখে দিল,
“৩০০ টাকায় যে কোন রোগের চিকিৎসা করান।
চিকিৎসা না হলে একহাজার টাকা ফেরৎ।“

এক ডাক্তার ভাবল এক হাজার টাকা রোজকার করার 

একটা দারুণ সুযোগ.....
সে সেই ক্লিনিকে গেল আর বলল “আমার কোন জিনিষ
খেতে গেলে তাতে কোন স্বাদ পাইনা।“
ইঞ্জিনিয়ার নিজের নার্সকে বলল,
“২২ নাম্বার বক্স থেকে ওষুধ বার কর আর ৩ ফোটা খাইয়ে দাও।“
নার্স খাইয়ে দিল।
রুগী (ডাক্তার)– “আরে, এটা তো পেট্রোল।“
ইঞ্জিনিয়ার– “Congratulation ..... দেখলেন তো আমাদের
ক্লিনিকের কামাল।
আপনি টেস্টটা জিভে পেয়ে গেছেন।
এবার আমাকে আমার ৩০০ টাকা ফিসটা দিয়ে দিন।
“ কিন্তু ডাক্তার ভীষণ চতুর। ভাবল,
একে টাইট করতে হবে, আর পয়সাটাও উসুল করতে হবে।

তাই আবার কিছুদিন পর সে সেই ক্লিনিকে এল।

ডাক্তার– “সাহেব, আমার মেমরী কমে গেছে। কিছুই মনে থাকেনা।“
ইঞ্জিনিয়ার– “নার্স, এনাকে সেই ২২ নাম্বার বক্সথেকে ৩ ফোটা দাও।“
রূগী (ডাক্তার)– “কিন্তু স্যার, ওটা তো স্বাদ ফিরে পাওয়ার ওষুধ।“
ইঞ্জিনিয়ার– “দেখলেন তো ওষুধ খাওয়ার আগেই আপনার মেমরী ফিরে এসেছে। দিন, আমার ৩০০ টাকা।“

এবার ডাক্তার বেশ রেগেই বাড়ি গেল আর আবার কিছুদিন পর ক্লিনিকে এসে বলল, “স্যার, আমার দৃষ্টিশক্তি একেবারেই কমে গেছে।

সবই খুব ঝাপসা দেখছি।“
ইঞ্জিনিয়ার– “এর কোন ওষুধ আমার কাছে নেই। এই নিন, আপনার ১০০০ টাকা।“
রুগী (ডাক্তার)– “কিন্তু এটা তো ৫০০ টাকার নোট।“
ইঞ্জিনিয়ার– “দেখুন, আপনার দৃষ্টিও ফেরৎ এসে গেছে। দিন আমার ৩০০ টাকা।“

An old man and Mohammed (sm)

One day 
a poor man brought a bunch of grapes to the Holy Prophet Muhammad (Sallallahu Alaihi Wasallam) as a gift. He was very excited to be able to bring a gift for the Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam).

He placed the grapes beside the Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam) and said, ‘O Prophet of Allah, please accept this small gift from me’. He was a poor man who could not afford more. His face beamed with happiness as he offered his small gift. It was evident that he loved the Prophet a lot.


The Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam) thanked him graciously. As the man looked at him expectantly, the Prophet ate one grape. Then he ate another one. Slowly the Prophet finished the whole bunch of grapes by himself. He did not offer grapes to anyone present. The poor man who brought those grapes was very pleased and left. 


The companions of the Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam) who were around him were surprised. Usually the Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam) shared whatever he got with them. He would offer them whatever he was given and they would eat it together. Usually he would start first, out of respect to the person who had given him the gift. But he would always offer it to others.This time had been different. Without offering it to anyone, the Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam) finished the bunch of grapes by himself. One of the companions asked respectfully, "Oh Prophet of Allah! How come you ate all the grapes by yourself and did not offer to any one of us present?” 


The holy Prophet (Sallallahu Alaihi Wasallam) smiled and said, "I ate all the grapes by myself because the grapes were sour. If I would have offered you, you might have made funny faces and shown your distaste of the grapes.That would have hurt the feelings of that poor man. I thought to myself that it's better that I eat all of them cheerfully and please the poor man. I did not want to hurt the feelings of that poor man.


"Moral:

1) Consideration for the feelings of others
2) Graciousness in accepting gifts.

হতাশ হবেন না

জীবনের যে কোন সময়ে ব্যর্থতা আসতে পারে 
কিন্তু
তাতে ভেঙ্গে পড়া উচিত নয়। কারন জীবন
থেমে থাকে না, আপনি না চাইলেও সময় গড়াবেই।
ভবিষ্যত আপনাকে মোকাবেলা করতেই হবে।
তাই অহেতুক আর কোন অজুহাত নয়, সামানের
দিকে এগিয়ে চলুন আর ভুল থেকে শিক্ষা নিন ...

মনে রাখবেন ,

একটা দুইটা স্টেজে পা পিছলে পড়ে গেলেই
জীবনের দ্য এন্ড হয়ে যায় না।
জীবনটা অনেএএএক বড়... আর ঘুরে দাঁড়ানোর
সুযোগও অনেক ...

আমাদের জীবনে অনেকগুলা ধাপ পার হতে হয়।

একটা বা দুইটা ধাপে যদি কেও খারাপ করেও,
তাহলে কি তাকে বাতিলের খাতায়
ফেলে দেওয়া ঠিক? যদি আপনি ঠিক মনে করেন,
তাইলে নিচের লেখাগুলায় একটু চোখ বুলান।

একটা তথ্য – বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, স্টিভ জবস

– এই তিনজনের মধ্যে একটা মিল আছে।
কোথায়? তারা তিনজনই ইউনিভার্সিটি ড্রপ আউট
স্টুডেন্ট। জুকারবার্গের তাও ব্যাচেলর
ডিগ্রি আছে, অন্য ২ জনের তাও নেই।

যে হার্ভার্ড থেকে বিল গেটস কিছুই পান নাই,

সেই হার্ভার্ডে তাকে আমন্ত্রন
জানানো হলো সম্মান জনক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহন
আর সমাবর্তনে বক্তৃতা দেয়ার জন্য।
তিনি বললেন “যাক এতদিনে আমার সিভিতে লেখার
মত একটা কিছু পেলাম”
তিনি আর বলেন" 'আমি অনেক বিষয়
নিয়ে পড়াশোনা করেছি, কিন্তু কখনও প্রথম
হতে পারি নি। অথচ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা আমার কর্মচারী।

মুসলিম ভাতৃত্ব

উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর শাসন আমল তখন । 

একদিন ২ জন লোক এক বালককে টেনে ধরে নিয়ে আসল তাঁর দরবারে । উমর (রাঃ) তাদের কাছে জানতে চাইলেন যে, "ব্যাপার কি, কেন তোমরা একে এভাবে টেনে এনেছ?" তারা বলল, "এই বালক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে ।" উমর রাঃ বালকটিকে বললেন, "তুমি কি সত্যিই তাদের পিতাকে হত্যা করেছ?" বালকটি বলল, "হ্যাঁ, আমি হত্যা করেছি তবে তা ছিল দূর্ঘটনাবশত । আমার উট তাদের বাগানে ঢুকে পড়েছিল তা দেখে তাদের পিতা একটি পাথর ছুড়ে মারল, যা উটের চোখে লাগে । আমি দেখতে পাই যে উটটি খুবই কষ্ট পাচ্ছিল । যা দেখে আমি রাগান্বিত হই এবং একটি পাথর নিয়ে তার দিকে মারি । পাথরটি তার মাথায় লাগে এবং সে মারা যায় ।" 


উমর (রাঃ) দুই ভাইকে বললেন, "তোমরা কি এ বালককে ক্ষমা করবে?’" তারা বলল, "না, আমরা তার মৃত্যূদন্ড চাই।" উমর রাঃ বালকটির কাছে জানতে চাইলেন, "তোমার কি কোন শেষ ইচ্ছা আছে?" বালকটি বলল, "জ্বী । আমার আব্বা মারা যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যান, যা আমি এক যায়গায় লুকিয়ে রেখেছি । আমি তিন দিন সময় চাই, যাতে আমি সেই জিনিস গুলো আমার ভাইকে দিয়ে আসতে পারি । আমার কথা বিশ্বাস করুন ।" উমর (রাঃ) বললেন, "আমি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি যদি তুমি এক জন জামিন জোগাড় করতে পার যে নিশ্চয়তা দেবে যে তুমি ফিরে আসবে?" বালকটি দরবারের চারদিকে তাকাল, কিন্তু এত মানুষের মধ্যে কেউই তার জামিন হল না । সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। 


হঠাৎ দরবারের পেছন থেকে একটি হাত উঠল । কার হাত ছিল এটি? প্রখ্যাত সাহাবী আবু যর গিফারী (রাঃ)! তিনি বললেন, "আমি তার জামিন হব!" চিন্তা করুন - জামিন মানে হল, যদি বালকটি ফিরে না আসে তবে আবু যর গিফারী (রাঃ) এর শিরচ্ছেদ করা হবে। সুতরাং, বালকটিকে ছেড়ে দেওয়া হল । এক দিন গেল, দ্বিতীয় দিনেও বালকটি আসল না । তৃতীয় দিনে ২ ভাই আবু যর গিফারী (রাঃ) এর কাছে গেল । আবু যর (রাঃ) বললেন, "আমি মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করব ।" মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে আবু যর গিফারী (রাঃ) দরবারের দিকে রওনা হলেন । মদিনার লেকজন তাঁর পেছন পেছন যেতে লাগল । সবাই দেখতে চায় কি ঘটে। আবু যর (রাঃ) একটি বালকের ভুলের কারণে আজ জীবন দিচ্ছেন । 


হঠাত্ আজানের কিছুক্ষণ আগে সেই বালকটি দৌড়ে আসল । উপস্থিত লোকেরা সবাই অবাক হল । উমর (রাঃ) বললেন, "হে বালক, তুমি কেন ফিরে এসেছ? আমিতো তোমার পিছনে কোন লোক পাঠাইনি । কোন জিনিসটা তোমাকে ফিরিয়ে আনল?" বালকটি বলল, "আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলিম কথা দিয়েছিল; কিন্তু সে তা রাখে নি । তাই আমি ফিরে এসেছি!" উমর (রাঃ) আবু যর (রাঃ) কে বললেন, "হে আবু যর, আপনি কেন এই বালকের জামিন হলেন?" হযরত আবু যর (রাঃ) বললেন, "হে আমিরুল মু'মিনীন, আমি দেখলাম একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন । আমি চাই না যে, কেউ বলুক একজন মুসলমানের সাহায্য প্রয়োজন ছিল; কিন্তু কোন মুসলমান তাকে সাহায্য করেনি।" এ কথা শুনে দুই ভাই বলল, "আমরাও চাই না যে কেউ বলুক, একজন মুসলমান ক্ষমা চেয়েছিল কিন্তু অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি ।" তারপর বালকটি মুক্তি পেল । 


পাঠককুল, বর্তমান সমাজে কি পাওয়া যাবে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এই অপরূপ দৃষ্টান্ত?? যারা ইসলামকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তারা যেন দেখে নেয় ইসলামের সৌন্দর্য! .কৃতজ্ঞতাঃ "আর-রাহীকুল মাখতুম" পেইজঃ মুসলিম আদর্শ নারী

মানব সৃষ্টির প্রাক্কালে

গাধাকে সৃষ্টি করার পর সৃষ্টিকর্তা বললেন- 
তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি,
অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি!!
তোর মাথায় কোনো বুদ্ধিও থাকবেনা!! 
তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর!! 
গাধা কয়- ক্যামনে কি?? 

এত কষ্ট কইরা আমি এত দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইনা!! 

পিলিজ লাগে, আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দেন!! 
সৃষ্টিকর্তা বললেন- যাহ, তাই দিলাম!! 

কুকুরকে বললেন, তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু,

কিন্তু মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি!! তোর আয়ু হবে ৩০ বছর!! 
শুনে কুকুর ঈশ্বর কে বলল!! দয়া কইরা, একটু শর্ট কইরা ১৫ কইরা দেন!! 
এতদিন বাঁচতাম চাই না!! ঈশ্বর এইবারও রাজি হয়ে গেলেন!! 

এরপর উনি বানরকে বললেন - হে বানর,

তোর একমাত্র কাজ হবে লাফায় লাফায় এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া!!
আর তামশা দেখায়া মানুষকে বিনোদন দেয়া!!
তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর!! বানর মনে মনে কয়- কেও আম্রে মাইরালা.....। 
সে আবেগে কাইন্দালায়া ঈশ্বরকে বলল- দিবেনই যখন ১০ বছর দেন,
আমি এত বড় জীবন দিয়া কি করাম?? 

ঈশ্বর এইবার পুরুষকে বলল, তুমি হইবা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব!! 

সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ!! তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর!! 
সেতো ভিত্রে ভিত্রে খুশিতে পাগল হয়ে গেসে 
কিন্তু এত মহত জীবন নিয়ে মাত্র ২০ বছর??
ক্যাম্নে কি?? সে করজোরে প্রভুকে বলল, একটা কাজ করণ যায় না?? 
আপনি আমারে গাধার ফেরত দেয়া ৩০ বছর, কুত্তার ১৫ বছর, বানরের ১০ বছর দিয়ে দেন!!
আই ওয়ান্ট টু লিভ মাই লাইফ টু দ্য ফুলেস্ট!! 
ঈশ্বর বললেন-নিজের বুঝ পাগলেও বুঝে, তুই বুঝলি না!! 
যাহ, দিলাম!! সেই থেকে ছেলেরা, পুরুষ মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০ বছর,
পরের ৩০ বছর গাধার মত সংসারের বোঝা টানে!!
তার পরের ১৫ বছর ছেলে মেয়ে যা দেয় তাই খেয়ে পরে 
বেচে থাকে কুকুরের মত!!

আর তার পরের দশ বছর বানরের মত, 

কখনো এক সন্তানের বাসা তো কখনো আরেক সন্তানের বাসায় ঘুরে 
আর নাতি নাতনিরে বিনোদন দেয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব!!!·

এক দাসী রাজার পাঞ্জাবী ধরে আছেন

এক দেশে এক রাজা ছিলেন। 
তিনি এক দাসীকে সে খুব ভালোবাসতো। এই নিয়ে রাজমহলে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করতেন। একদিন রাজার এক বন্ধু রাজাকে বললেন, বন্ধু তুমি কি জানো তোমাকে নিয়ে প্রজারা অনেক বাজে মন্তব্য করে? রাজা বললেন কেন? বন্ধু বললেন, তুমি রাজ্যে এতো সুন্দরী মেয়েরা থাকতে একটি সামান্য দাসীর সাথে কেন সম্পর্কে জড়ালে? তখন রাজা বললেন, একটা সুন্দরী মহিলাদের জমায়েত এর আয়জন করো, এই আয়োজনে সব সুন্দরী মেয়েরা থাকবেন আর ঐখান থেকে যাকে আমার পছন্দ হবে থাকেই আমি বিয়ে করবো। তো দিন তারিখ ঠিক হলো, রাজ্যের সব সুন্দরী মেয়েরা রাজার দরবারে হাজির, এই প্রত্যাশায় যদি রাজার পছন্দ হয়ে যায় তবে তার সাথে বিয়ে হবে। 

সময় মতো রাজা ও সেই দাসি এবং সবাই হাজির হলেন, রাজা তার সব ধন-সম্পদ, হীরা, মনি মুক্তা ইত্যাদি সবার সামনে রাখলেন আর বললেন আমি পছন্দ করবো পরে, আগে যার যা সম্পদ দরকার এখান থেকে নিয়ে নাও, তারপর আমি পছন্দ করবো কাকে আমি বিয়ে করবো। তো যারা এসেছিলেন সবাই সবার ইচ্ছে মতো, মনিমুক্তা, হীরা, টাকা- পয়সা নিলেন, কিন্তু সেই দাসীটি কিছু না নিয়ে রাজার পাঞ্জাবীতে ধরে রাখলেন। সবার সব কিছু যখন নেয়া শেষ হলো দেখা গেল সবাই নিয়েছেন কিন্তু সেই দাসি কিছু নেন নাই তিনি রাজার পাশে গিয়ে রাজার পাঞ্জাবী ধরে আছেন। 


সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন '' হে দাসী তুমি তো গরিব তোমার অনেক কিছু দরকার কিন্তু তুমি কিছু না নিয়ে রাজার পাঞ্জাবী ধরে রেখেছ কেন?'' উত্তরে দাসি বলল ''আপনারা তো সম্পদ নিয়েছেন কিন্তু আমি এই সম্পদের মালিকের হয়ে যেতে চাই, যদি আমি এই সম্পদের মালিকের হয়ে যেতে পারি তবে তো সব সম্পদই আমার, তাই আমি সম্পদের মালিকের পাঞ্জাবী ধরে রেখেছি।'' তখন রাজা বললেন এবার হয়তো সবাই বুঝতে পেরেছেন আমি কেন রাজ্যের এতো সুন্দরী রেখে দাসিকে ভালবাসি? 


সবাই বললেন হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি। . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . 


শিক্ষা:- আসুন দুনিয়ার সম্পদ নয় এই সম্পদের মালিকের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।

চাপা তো নয় যেন কংক্রিট

তিন চাপাবাজ চাপাবাজি করছে।

প্রথম চাপাবাজঃ জানিস, যে বার চাঁদে গিয়েছিলাম, সেখানকার মানুষগুলো এত উন্নত যে কি বলব তারা এমন একটা বিল্ডিং বানিয়েছে যে একটি ইট ঐ বিল্ডিং এর ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল আর মাটিতে পড়তে সময় লেগেছে পাঁচ বছর।


দ্বিতীয় চাপাবাজঃ দূর, এ আর এমন কী! সেবার আমি গিয়েছিলাম মঙ্গলগ্রহে, সেখানকার মানুষগুলো আরো উন্নত। তারা এমন একটি বিল্ডিং বানিয়েছে যে একবার এক শিশু ওই বিল্ডিংটার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল। মাটিতে পড়ার সময় দেখা শিশুটির দাড়ি, গোঁফ সাদা হয়ে গেছে।


তৃতীয় চাপাবাজঃ দূর, এটা কোন উঁচু বিল্ডিং হল! আমি একবার গিয়েছিলাম বৃহস্পতিতে। সেখানকার শহরের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং থেকে একদিন একটা বানর পড়ে গিয়েছিল। মাটিতে পড়ার পর দেখা গেল বানরটা মানুষ হয়ে গেছে।

পিঁপড়া মারার কৌশল ও পদ্ধতির বর্ণনা

জৈনেক সাংবাদিক গিয়েছিলেন এক পিঁপড়া বিশেষজ্ঞের কাছে 
কি করে পিঁপড়া মারা যায় সে সম্পর্কে জানতে। 
ঐ সাংবাদিক যেমনটা জানালেন _____

প্রথমে পিঁপড়ারা যে পথে চলে সে পথের পাশেই কিছু চিনি ছড়িয়ে দিন।

চিনির লোভে পিঁপড়ারা আসবে।
তারপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে রাখুন।
মড়িচের গুড়ো খেয়ে পিঁপড়ারা হুস হাস করতে করতে পানি তো খেতে চাইবেই।
তাই না?
আর আপনি পানির পাত্রের কাছেই বোম ফিট করে রাখুন।
ব্যাস আর ঠেকায় কে?
যেই না পিঁপড়ারা পানির পাত্রের কাছাকাছি আসবে 
অমনি বো-বো-বোম ফ-ফ-ফ-টা-স-স।

পিঁপড়ার বংশ হয়ে গেল নির্বংশ।

এক পিচ্চি ফায়ার ফাইটার

দুই পিচ্চির কথোপকথন.....

১ম পিচ্চি: জানিস, কাল রাতে সপ্নে দেখি আমি ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পাইছি

              আর এক বাসায় আগুন নিভাইতাছি!!!


দিতীয় পিচ্চি: তার পর কি হল দোস্ত!!??



১ম পিচ্চি: কি আর হবে, ঘুম থেকে উঠে দেখি কাম শেষ!!

              .....মুইতা বিছানা ভাসাই দিছি..

এক নোয়াখাইল্লাহ স্ত্রীর চিঠি


ওগো হরানের স্বামী, ...

আন্নে ভালা আছেন্নি?
আইতো বেশি ভালা না।
হইর ঘাটে দি হড়ি কাইন্না আঙ্গুল ভাঙ্গি গেছে।
টিয়া হইসা কিছু দেন না।
চিন্তা দান্ধায় চুল বেগ্গুন উঠি গেছে।
বেগ্গুনে দেইখলে বেলু কই বোলায়।
বড় হোলার লুঙ্গি ছিরি গেছে।
হিয্যায় অন স্কুলে যায় না।
ছোড হোলা বল খেলতো যাই দাঁত ভাঙ্গি হালাইয়ছে।
বড় মাইয়া ভালা ইকগা থ্রিপিসের লাই স্কুলে যায় না।
ছোড মাইয়া হইরা বেডা দেখলে আব্বু আব্বু কইয়া বোলায়।
আন্নে তাড়াতাড়ি বাড়ীত চলি আইয়েন।
আন্নের মা কুত্তারে হিডি লাডি ভাঙ্গি হালাইছে আন্নে আইতে বিদাশী এক্কান লাডি আনিয়েন।

_______________________________ ইতি আন্নের রাণী |

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক নম্বর বিশ্বশক্তি হিসেবে গ্রেট ব্রিটেন অপসারিত হয় এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান এই ঘোষণা প্রথম প্রকাশ্যে দেন জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর এটম বোমা নিক্ষেপ করে। সাম্রাজ্যবাদীরা স্ট্যালিনকে ও সেই সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নকে গণহত্যাকারী, ক্রিমিনাল ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে তাদের প্রচারণা চালিয়ে গেলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অদৃষ্টপূর্ব গণহত্যার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশাল আকারের গণহত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় না। অথচ জাপানে এটম বোমা নিক্ষেপ করে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে লাখ লাখ নিরীহ নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজ আমেরিকা এমন সময় করেছিল যখন ১৯৪৫ সালের মে মাসে ইউরোপে বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছিল এবং জুলাই মাসের দিকেই জাপান আত্মসমর্পণের দোরগোড়া দাঁড়িয়েছিল। 


যেহেতু শুধু হিটলারই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্ণবাদী, এজন্য তারা এটম বোমা জার্মানিতে নিক্ষেপ না করে সেটা নিক্ষেপ করেছিল জাপানে। এভাবে নিষ্প্রয়োজনে এটম বোমা নিক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্ট্যালিন ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে হুমকি দিয়ে বোঝানো যে, যুদ্ধ শেষ হলেও পরবর্তী শান্তি চুক্তিতে আমেরিকার শক্তিকে তারা যেন হিসাবের মধ্যে রেখে আলাপ-আলোচনা করে। সেই থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে নিজের সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের জন্য দেশে দেশে, বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ওপর তাদের আক্রমণ শুরু করে। 


শুধু সামরিক নয়, অন্য সব উপায় অবলম্বন করেই তারা এ কাজ শুরু করে। প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ারের কুখ্যাত বিদেশ সেক্রেটারি ডালেসের আমলে এই সাম্রাজ্যবাদী নীতি আইনে পরিণত অবস্থায় এসে দাঁড়ায়। তারা সিয়াটো, বাগদাদ চুক্তি, সেন্টো ইত্যাদির মাধ্যমে বেশ পরিকল্পিতভাবেই এক্ষেত্রে অগ্রসর হয়। প্রথম থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে সরাসরি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে এলেও পরবর্তীকালে তারা এর সঙ্গে যুক্ত করে তাদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’নীতি। 


গত শতাব্দীর ৯০-এর দশক থেকেই এর শুরু। এর জন্য প্রথমে তারা আফগানিস্তানে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিন লাদেনকে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা হিসেবে খাড়া করে। পরে তারা তৈরি করে তালেবানদের। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে বাধ্য করার পর বিন লাদেন এবং আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটে নানা কারণে, যার বর্ণনা এক্ষেত্রে নিষ্প্রয়োজন। 


প্রথম দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুড়ো বুশ এবং পরে বিল ক্লিনটনের আমলে তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ খাড়া করে। প্রেসিডেন্ট জি ডব্লিউ বুশের সময় থেকে তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ‘সন্ত্রাস বিরোধিতার’ নামে বেশ জোরেশোরে শুরু করে। বুশ প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই এই ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেন। সেই হিসেবে তারা নিজেরা সৌদি আরবের কিছু সন্ত্রাসীর সঙ্গে যোগসাজশ করে নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের হেডকোয়ার্টার পেন্টাগনে বিমান আক্রমণের চক্রান্ত করে তা কার্যকর করে। ব্যাপক সাম্রাজ্যবাদী প্রচারণার মাধ্যমে এর জন্য তারা বিন লাদেনকে দায়ী করেন এমন সময় যখন লাদেন আফগানিস্তানের এক গুহায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে আত্মগোপন অবস্থায় ছিলেন। সেই অবস্থায় থেকে কোনো ব্যক্তি যে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে বিমান হামলা পরিচালনার চক্রান্ত ও তা কার্যকর করতে পারে এর থেকে অসম্ভব ও হাস্যকর আর কিছুই হতে পারে না। 


কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বজোড়া প্রচারণার এমনই শক্তি যে, সারা বিশ্ব এই আক্রমণের জন্য এখনও লাদেনকেই দায়ী করে থাকে। প্রেসিডেন্ট বুশের আমলে মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলে একের পর এক অনেক সন্ত্রাসী সংগঠন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইরাক দখলের পর তারা সাদ্দামের ছত্রভঙ্গ সেনাবাহিনীর একাংশকে এ কাজে ব্যবহার করে, যারা বাগদাদি নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে তাদেরকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করে। এর ফলে বাগদাদির নেতৃত্বাধীন আইএস তাদের প্রভাব শুধু বৃদ্ধি করে তাই নয়, তারা ইরাক ও সিরিয়ার একটা বড় অংশ নিজেদের দখলে আনে এবং শাসন প্রতিষ্ঠা করে। সেই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের এক প্রকার দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং বুশ সরকার বাগদাদিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে তাদের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’যুদ্ধ শুরু করেন। 


এ সময় ‘সন্ত্রাস বিরোধিতা’ পরিণত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতিতে। কিন্তু শুধু এ ধরনের বিরাট সন্ত্রাসী সংগঠনই নয়, পাকিস্তানের জইশ-ই-মোহাম্মদ ইত্যাদি সন্ত্রাসী সংগঠনও তারা এভাবে গঠন করে। লক্ষ করার বিষয় যে, একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন খাড়া করে চলে এবং একইসঙ্গে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক পরিকল্পনা কার্যকর করতে থাকে। আসলে তাদের এই ‘সন্ত্রাসবিরোধী’নীতির মূল লক্ষ্য হল সন্ত্রাস বিরোধিতার নামে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপের অজুহাত তৈরি করা। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ যুদ্ধে সব থেকে উল্লেখযোগ্য শরিক হল নিকৃষ্টতম সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ইসরাইল। 


এই রাষ্ট্রটিকেও তারা এক সূদুরপ্রসারী নীতির আওতাতেই সৃষ্টি করে ১৯৪৮ সালে। ইসরাইলের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়টি এতই পরিচিত যে, এর ওপর কোনো বিশদ আলোচনার প্রয়োজন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবরোধ’ নীতি তাদের সন্ত্রাসী নীতির এখন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে এ ধরনের আক্রমণের দৃষ্টান্তের অভাব নেই। সামরিক আক্রমণ ছাড়াও এই অবরোধ তারা কার্যকর করছে ইরান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে। এর অন্য উদাহরণেরও অভাব নেই, যা ল্যাটিন আমেরিকায় এখন প্রায় সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। মাার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ নীতির মূল লক্ষ্য হল, সামরিক ঘেরাও ছাড়া মূলত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তারা নির্দিষ্ট দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে। তাদের বৈদেশিক উপার্জনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং খাদ্য আমদানি ইত্যাদি বন্ধ করে এমন সংকট সৃষ্টি করছে, যাতে অভ্যন্তরীণভাবে এসব দেশের জনগণ সরকারবিরোধী হয়ে ওঠে। তাদের এই সরকার বিরোধিতাকে ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দেশে তাদের এজেন্টদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিক দিয়ে এ মুহূর্তে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল, ভেনিজুয়েলা, ইরান, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। তারা খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার মতো শক্তি পর্যন্ত অর্জন করেছে। এ জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসতে ইচ্ছুক। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য হল, উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বাধ্য করা। এ জন্য তারা ব্যাপকভাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ সৃষ্টি করে তাদের অর্থনীতির প্রভূত ক্ষতি করছে। 


অবরোধ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াও তাদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখতে সম্মত। কিন্তু অসুবিধা দাঁড়িয়েছে- কে এ কাজে প্রথম পদক্ষেপ নেবে। উত্তর কোরিয়ার বক্তব্য হল, প্রথমে অবরোধ তুলতে হবে, তারপর তারা পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি হল, আগে উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করে সব রকম পদক্ষেপ নিতে হবে, তারপর তারা অবরোধ তুলবে। এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠক ভেস্তে গেছে। ট্রাম্পের চালাকি হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি বর্জন করার পর ইচ্ছামতো অবরোধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কিন্তু ট্রাম্পের ভণ্ডামি ধরে ফেলার মতো বুদ্ধি উত্তর কোরিয়ার আছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করে তাদের সব স্থাপনা ভেঙে না ফেললে তাদের কোনো অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই! অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন তাদের হাতে! অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদের হাতে!! 


ভেনিজুয়েলায় তেলের মজুদ সৌদি আরবের থেকে বেশি। কাজেই তেল রফতানি করেই তারা দেশের জনগণের সমৃদ্ধি এবং নিজেদের রাষ্ট্রের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন আমেরিকা ভেনিজুয়েলায় অবরোধ চাপিয়ে রেখে তাদের তেল রফতানি অসম্ভব করে তুলেছে। যেসব দেশ ভেনিজুয়েলা থেকে তেল কিনত তারা আর তেল কিনতে পারছে না। এর ফলে সেদেশে এক ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্য, ওষুধ ইত্যাদির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে জনগণের একটা বড় অংশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন তাদের এক তাঁবেদারকে সেখানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। 


ইরানের ক্ষেত্রেও তারা অবরোধ দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ সে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইরানের তেল কিনতে থাকায় আগের থেকে অবস্থা খারাপ হলেও ভেনিজুয়েলার মতো সংকট সেখানে তৈরি হয়নি। সৌদি আরব এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হিসেবে একটি বিপজ্জনক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাদের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এখন সেখানে বাদশাহর থেকেও বেশি প্রভাবশালী এবং মার্কিনের পরম মিত্র। তাকে দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের যুদ্ধ শুরু করেছে এবং তাদের সন্ত্রাসী বোমা হামলায় সেখানে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু নিহত হচ্ছে। তাছাড়া সেখানে চরম খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ অবস্থা তৈরি হয়েছে। 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী তৎপরতা কতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে, তার কোনো হিসাব নেই। কাশ্মীরে সম্প্রতি জইশ-ই-মোহাম্মদ যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে, তার পেছনেও মার্কিন-পাকিস্তানি-ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর যোগাযোগের বিষয়টিও খারিজ করার নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে খারাপ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও তাকে সময়মতো ব্যবহার করা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নীতির এক বড় দিক।

.
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল http://ow.ly/ylq530o2Pui

People Liked